Sunday, 09 February, 2025

সর্বাধিক পঠিত

আগাম ফুলকপি চাষ পদ্ধতি


ফুলকপি

ফুলকপি চাষ বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় শীতকালীন সবজি চাষ। এর চাষ সহজ এবং এটি কৃষকের জন্য লাভজনক হতে পারে। এখানে নিনজা ফুলকপি চাষের পদ্ধতি ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো:

১. জমি নির্বাচন

    আরো পড়ুন
    কুকুরের ভ্যাকসিন (Dog Vaccine) দেওয়ার নিয়ম
    গোল্ডেন রিট্রিভার (Golden Retriever)

    কুকুরকে সুস্থ ও রোগমুক্ত রাখতে ভ্যাকসিন দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কুকুর বিভিন্ন ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে, যেমন জলাতঙ্ক, ডিস্টেম্পার, প্যারভো Read more

    পোষা কুকুর (Pet Dog) পালনের পদ্ধতি

    কুকুর পালতে চাইলে তাদের সঠিক যত্ন, খাবার, স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও প্রশিক্ষণের দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে কুকুরের Read more

  • ভাল নিষ্কাশন ব্যবস্থা আছে এমন দোআঁশ বা বেলে দোআঁশ মাটি ফুলকপি চাষের জন্য উপযুক্ত।
  • মাটির pH ৫.৫-৬.৫ হওয়া উচিত।
  • পর্যাপ্ত সূর্যালোক প্রাপ্ত জমি নির্বাচন করতে হবে।

২. ফুলকপির জাতের নাম

  • ফুলকপির বিভিন্ন জাত রয়েছে যেমন:
    • স্থানীয় জাত: আগাম ও দেরি ফুলকপি।
    • উন্নত জাত: বারি ফুলকপি-১, বারি ফুলকপি-২, বারি ফুলকপি-৩।
    • হাইব্রিড জাত: কুরাসাকী, সুপার স্নো বল ইত্যাদি।
  • স্থানীয় এবং বাজার চাহিদা অনুযায়ী জাত নির্বাচন করুন।

৩. বীজতলা তৈরি

  • ১ মিটার প্রশস্ত এবং প্রয়োজনমতো লম্বা বীজতলা তৈরি করুন।
  • জৈব সার মিশিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করুন।
  • ২-৩ সেন্টিমিটার গভীর সারি তৈরি করে বীজ ছিটিয়ে দিন।
  • বীজের উপর পাতলা মাটি ও খড় বিছিয়ে হালকা পানি দিন।

৪. চারা রোপণ

আগাম ফুলকপি চাষের সময় আগস্ট – সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত

  • বীজতলা থেকে ২৫-৩০ দিন বয়সী সুস্থ চারা তুলে রোপণ করুন।
  • চারা রোপণের দূরত্ব:
    • সারি থেকে সারি: ৫০ সেন্টিমিটার।
    • গাছ থেকে গাছ: ৪০ সেন্টিমিটার।

৫. সার প্রয়োগ

  • সুষম সার প্রয়োগ নিশ্চিত করুন:
    • জৈব সার: ১০-১২ টন/একর।
    • রাসায়নিক সার:
      • ইউরিয়া: ১৫০-২০০ কেজি/একর।
      • টিএসপি: ৮০-১০০ কেজি/একর।
      • এমওপি: ১০০-১২০ কেজি/একর।
  • জমি তৈরির সময় অর্ধেক ইউরিয়া এবং সম্পূর্ণ টিএসপি ও এমওপি দিন।
  • বাকি ইউরিয়া ২-৩ কিস্তিতে প্রয়োগ করুন।

৬. সেচ এবং আগাছা নিয়ন্ত্রণ

  • ৭-১০ দিন অন্তর সেচ দিন।
  • জমি সর্বদা আগাছামুক্ত রাখুন।
  • মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখতে মালচিং করতে পারেন।

৭. রোগবালাই ও পোকা দমন

  • সাধারণ রোগ: পাতা পঁচা, ড্যাম্পিং-অফ।
    • সমাধান: ব্লাইটক্স বা কপার অক্সিক্লোরাইড স্প্রে করুন।
  • পোকা: ব্যাকটেরিয়াল পাতা পোকার আক্রমণ।
    • সমাধান: অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করুন।
  • জৈব পদ্ধতি: নিমতেল বা ফেরোমোন ফাঁদ ব্যবহার করুন।

৮. ফুলকপি সংগ্রহ

  • রোপণের ৬০-৮০ দিনের মধ্যে ফুলকপি সংগ্রহযোগ্য হয়।
  • ফুল আঁটসাঁট এবং রং সাদা বা হালকা ক্রিম হলে সংগ্রহ করুন।
  • খুব বেশি সময় ফেলে রাখলে ফুল ঢিলে হয়ে যাবে।

৯. ফুলকপির ফলন

  • প্রতি একরে ১০-১২ টন ফলন পাওয়া সম্ভব।
  • উন্নত পরিচর্যায় ফলন আরও বাড়তে পারে।

ফুলকপি চাষে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে এটি থেকে ভাল আয় করা সম্ভব। আপনার চাষের কোন ধাপে সাহায্য লাগলে জানান!

0 comments on “আগাম ফুলকপি চাষ পদ্ধতি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আর্কাইভ