Wednesday, 06 November, 2024

সর্বাধিক পঠিত

আগাম জাতের রোপা আমন


জয়পুরহাটের কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগাম জাতের রোপা আমন ঘরে তুলছেন তারা। এবার জেলায় আগাম জাতের রোপা আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায়। কৃষকরাও খুশি ফলন দেখে।

মাঠে মাঠে পেকে গেছে ধান

সরেজমিনে গিয়ে মাঠে মাঠে আগাম জাতের রোপা আমন ধান পাকতে দেখা গেছে।

আরো পড়ুন
ডিমের দাম কমেছে, পুরোপুরি স্থিতিশীল হতে সময় লাগবে: ভোক্তার ডিজি
মহাপরিচালক আলীম আখতার খান

বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়ার ফলে ডিমের দাম কিছুটা কমেছে, তবে পুরোপুরি যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছে Read more

দেশের ৯টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল

দেশের ৯টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। এই দিন সারাদেশে একযোগে আটটি মূল কেন্দ্র Read more

জয়পুরহাট সদর উপজেলার কোমরগ্রাম, বানিয়াপাড়া, নারায়ণপাড়া, তেঘর বিশা, ভূতগাড়ি, দাদরা জন্তি গ্রাম, বেল আমলা, করিমনগর, পুরানাপৈল এ দৃ্শ্য দেখা যায়।

কৃষকরা পাকা ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

কৃষকরা জানান, এ বছর আগাম জাতের রোপা আমন ধানের উৎপাদন হয়েছে প্রতি বিঘায় ১৬-১৮ মণ।

প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ৪-৬ হাজার টাকা।

প্রতি মণ ধান ৮২০-৯৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সে হিসেবে উৎপাদিত ধান ১৩ হাজার টাকার মতো বিক্রি করা হচ্ছে।

ফলে লাভ থাকছে সব খরচ বাদ দিয়েও।

কৃষকেরা আমন ধান ঘরে তোলার পর সেই জমিতে আগাম আলু চাষের সুযোগ পাবেন।

সদরের করিমনগর অঞ্চলের কৃষক হাফিজুর রহমান নিয়মিত চাষ করেন।

তিনি এবছর রোপা আমন ধান চাষ করেছেন সাড়ে পাঁচ বিঘা জমিতে।

এর মধ্যে দেড় বিঘাতে আগাম হাইব্রিড জাতের ধানি গোল্ড চাষ করেছেন।

বাকিগুলোতে স্বর্ণ-৫ আর রঞ্জিত জাতের ধান রোপণ করেছিলেন।

তিনি জানান যে,  জমিতে রোপণকৃত আগাম জাতের ধানি গোল্ড ধান কাটা প্রায় শেষ।

বিঘাপ্রতি ১৭-১৮ মণ পাওয়া যাচ্ছে এই ধান থেকে।

বর্তমান বাজারে ৮২০-৮৩০ টাকা মণ দরে এই ধান বিক্রি হচ্ছে।

কৃষকরা বলেন, মাঠজুড়ে আমন ধান পরিপূর্ণ।

অনেকেই আগাম জাতের আমন ধান রোপণ করেছেন এবার।

আগাম জাতের ধান ছাড়া শীষ বের হয়নি অন্য কোন জমির ধান গাছে।

অথচ আগাম জাতের ধান পেকে গেছে এবং সেটি কেটে ঘরে তোলা হচ্ছে।

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চাষ হয়েছে

জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬৯ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের।

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বরং এবছর ২ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ বেশি হয়েছে।

রোপা আমনের উফশী জাতের ধানচাষের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে।

কিন্তু সেটাকে কমিয়ে চাষ হয়েছে ৬১ হাজার ৮১২ হেক্টর জমিতে।

হাইব্রিড জাতের ধানচাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে।

ইতিমধ্যে এটি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চাষ করা হয়েছে ৭ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে।

অন্যদিকে ৭০০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের ধানচাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল।

কিন্তু সেটা কমিয়ে ৬০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।

এর মধ্যে আগাম জাতের রোপা আমন ধান চাষ হয়েছে ৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে।

জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর।

তিনি বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে ছিল চলতি রোপা আমন মৌসুমে।

তাছাড়া ধান খেতের রোগ-বালাই এ বছর খুবই কম হয়েছে।

কৃষকরা ইতিমধ্যে আগাম জাতের ধান সমূহ কাটা-মাড়াই শুরু করেছেন।

এসব জমিতে আগাম আলু রোপণ করবেন তারা।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে মৌসুমের শেষ অবধি কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না ঘটলে ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভাল ফলন হবে।

0 comments on “আগাম জাতের রোপা আমন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *