Friday, 10 May, 2024

সর্বাধিক পঠিত

সাতক্ষীরা জেলায় জলাবদ্ধতা দূরীকরণে সেচ প্রকল্প


সাতক্ষীরা জেলায় জলাবদ্ধতা দূর করে সেচ প্রকল্প পরিচালনা

এখনো বর্ষার পানি কমেনি। যার কারণে সাতক্ষীরা জেলায় জলাবদ্ধতা কাটেনি। জেলার সদর উপজেলার কয়েকটি এলাকা এখনো পানিবদ্ধ। বাড়ি, ঘর, ফসলি জমি—সব সাত মাসের বেশি সময় ধরে পানির নিচে। এমন অবস্থাতেও পানিসেচ শুরু হয়েছে গদাইবিল সুরক্ষা কমিটি ও ঢেবুর বিল সুরক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে। যার কারণে ওই সব এলাকায় কয়েক হাজার কৃষক স্বপ্ন দেখছেন তাঁদের জমিতে বোরো ধান আবাদের।

সেচ এর মাধ্যমে দূর করা হবে জলাবদ্ধতা

স্থানীয় সূত্র জানায়, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এসব এলাকায় পানি সেচ কার্যক্রম শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন
বায়োফ্লকের পানি তৈরি করার পদ্ধতি বা নিয়ম
বায়োফ্লক ট্যাংক

বায়োফ্লকে পানি তৈরি বায়োফ্লক মাছ চাষের অন্যতম প্রধান কাজ। বায়োফ্লক শুধুমাত্র ফ্লক তৈরি করতে না পেরে অনেকে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। Read more

চলমান তাপ প্রবাহে হাঁস-মুরগি ও প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনা
চলমান তাপ প্রবাহে হাঁস-মুরগি ও প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনা

তীব্র তাপপ্রবাহ হাঁস- মুরগি ও গবাদিপ্রাণির দেহে নানা ধরনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পীড়ন (স্ট্রেস) তৈরি করে, ফলে হাঁস-মুরগি ও গবাদিপ্রাণির Read more

প্রায় ১৫ হাজার বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষাবাদে নতুন করে কর্মযজ্ঞ ওই মাসেই শুরু হবে।

জমিতে ফসলের ফলন হলে কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী আর জলাদ্ধতার কারণে সৃষ্ট দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে।

স্থানীয় লোকজন জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লবসা, ব্রহ্মরাজপুর, ধুলিহর ও ফিংড়ি ইউনিয়নের তালতলা, মাগুরা, গোপীনাথপুর, কৈখালী, মেঠপাড়া, শ্যালে, বেড়াডাঙ্গী, রামচন্দ্রপুর, গোবিন্দপুর, পালিচাঁদ ও ঢেবুর বিলের জমি তলিয়ে আছে।

যা পরিমাণ প্রায় ১৫ হাজার বিঘা, যা বর্ষা মৌসুমের পর থেকে সাত মাস ধরে পানিতে তলিয়ে রয়েছে।

লাবসা ইউনিয়নের গদাই বিল সুরক্ষা কমিটি সভাপতি মঞ্জুর হোসেন ও ফিংড়ি ঢেবুখালী সুরক্ষা বিলের আবদুল অদুদ।

তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, জমির মালিক ও চিংড়িঘেরের মালিকের কাছ থেকে ৮০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে নেয়া হয়েছে এই সেচ দেওয়ার জন্য।

তারা ধারণা করছেন, প্রায় ২০ লাখ টাকার মতো খরচ হবে এসব জমি থেকে পানি সরাতে।

১৫ ডিসেম্বর থেকে সেচ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি এটি শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এসব জমিতে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বোরো চাষ সম্ভব হবে।

তিনি আরও জানান যে, বর্তমানে এসব জমি থেকে ২১টি সেচ মেশিন পানি সরানোর কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বেতনা, মরিচ্চাপ নদীসহ ৮২টি সংযোগ খাল খননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এর জন্য ৪৭৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে এ কাজের অংশবিশেষ শুরু হয়েছে বলেও জানায় পাউবো সূত্র।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বিভাগ-২) নির্বাহী প্রকৌশলী শামিম হাসনাইন মাহমুদ।

তিনি জানান, সাতক্ষীরা শহর ও সদর উপজেলার নদী এবং খাল খননের জন্য ৪৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে বেতনা নদী খননের জন্য দরপত্র আহ্বানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নদী খনন ও সংযোগ খালগুলো খনন করা গেলে জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তবে টিআরএমের প্রস্তাব থাকলেও প্রকল্পে তা রাখা সম্ভব হয়নি বলে জানান এ কর্মকর্তা।

0 comments on “সাতক্ষীরা জেলায় জলাবদ্ধতা দূরীকরণে সেচ প্রকল্প

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *