শাক খেলে মেদ কমে। শাকের রয়েছে অনেক পুষ্টি গুন। ঢেকি শাকের পুষ্টিগুন ও উপকারিতা কি?
ঢেকি শাকের প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে উঠে। ঢেকি শাকের রয়েছে পুষ্টিগুন লম্বা লিস্ট।
ঢেকি শাকের পুষ্টিগুণ
প্রতি ১০০ গ্রাম ঢেকি শাকে রয়েছে শর্করা ৫.৪ গ্রাম,আশ ১.৪৭ গ্রাম, ফ্যাট ০.৪ গ্রাম, প্রোটিন ৪.৫৫ গ্রাম, পানি ৯২.২২ গ্রাম, আঁশ ২.৮ গ্রাম, ভিটামিন বি-১ ২০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-২ ১৮ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-৩ ৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-৬ ২২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ২৬.৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ১৮ মিলিগ্রাম, বিটাক্যারোটিন ২০৪০ মাইক্রোগ্রাম, আলফা ক্যারোটিন ২৬১ মাইক্রোগ্রাম, সোডিয়াম ১৫ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩৭০ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩২ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৪২ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১৮ মিলিগ্রাম, আয়রন ১২ মিলিগ্রাম, জিংক ৫ মিলিগ্রাম, সেলেনিয়াম ৭০ মাইক্রোগ্রাম, তামা ৩২ মিলিগ্রাম, ম্যাঙ্গানিজ ৪১ মিলিগ্রাম সহ থায়ামিন, রিবোফ্ল্যাভিন, নিয়াসিনের মত উপকারী সব উপাদান।
ঢেকি শাকের উপকারিতা
১। ঢেঁকি শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি থাকে । ভিটামিন সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফলে এই শাক খেলে দাঁতের ক্ষত বা ক্যাভিটি দূর হয়।
ভিটামিন এ আমাদের চোখের দৃষ্টি বাড়াতে সাহায্য করে। একই সাথে এটি আমাদের ত্বক ভালো রাখতে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ।
২। ঢেঁকি শাক পটাসিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি আমাদের উচ্চ কিংবা নিন্ম রক্তচাপ কমায়। এছাড়াও এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকায় ঢেঁকি শাক অস্টিওপোরেসিস এবং অন্যান্য ক্যালসিয়ামের অভাব জনিত রোগের ঝুঁকি কমায়।
৩। ঢেঁকি শাক আমাদের ফুসফুসের ক্যান্সার, ত্বকের ক্যান্সার ও গর্ভ ক্যান্সার(womb cancer) প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।আমাদের রক্তনালীর সংকোচন প্রসারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।
৪। ঢেঁকি শাকে থাকা বেশ কিছু উপকারী উপাদান আমাদের শ্বাসতন্ত্রকে সতেজ রাখে। একই সাথে এটি আমাদের পুরনো কাঁশি সারিয়ে তোলে। এই শাক আমাদের কাঁটা ছেড়া কিংবা ঘা-ক্ষত সাড়িয়ে তোলে।
৫। ঢেঁকি শাকে উচ্চমাত্রায় ফসফরাস থাকায় এটি ‘রিকেট’ সারাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এতে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন আমাদের ক্ষুধামন্দা দূর করে। ডায়বেটিক রোগীর জন্য ঢেঁকি শাক খুবই ভালো খাবার।
৬। ঢেঁকি শাক আমাদের বিভিন্ন রকমের ব্যাথা, লিভার ইনফেকশন এবং ছোঁয়াচে ঠাণ্ডা-কাঁশি থেকে রক্ষা করে।