পঞ্চগড় জেলায় এ বছর শীতকালীন সবজি বাজারে আসা শুরু করেছে একটু দেরিতে । বাজারে বিভিন্ন শীতকালীন সবজি যেমন মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, গাজর, শিমসহ নানা ধরনের সবজি পাওয়া যাচ্ছে। তবে শীতের সবজির দাম চড়া স্থানীয় বাজারগুলোতে।
অধিকাংশ সবজিই ১০০ থেকে তার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। সরেজমিনে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, শিম বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকায়।
এছাড়া ফুলকপি ১০০ টাকা, বাঁধাকপি ৮০ টাকা, গাজর ২০০ টাকা, শসা ৬০ টাকা এবং টমেটো ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বৃষ্টিপাত না হওয়া্য় উৎপাদন কম হয়েছে
কৃষকরা জানিয়েছেন, এ বছর জেলায় বৃষ্টি কম হয়েছে।
যার কারণে ব্যাহত হয়েছে শীতকালীন সবজির আবাদ।
আগাম সবজি তাই উঠতে দেরি হয়েছে।
সে কারণে পার্শ্ববর্তী ঠাকুরগাঁও, জয়পুরহাট ও বগুড়া জেলা থেকে সবজি আসছে।
কেনা দাম বেশি হবার কারণে বিক্রির দামও বেশি।
অন্যদিকে বৃষ্টির অভাবে বাঁধাকপি, ব্রকলি, ফুলকপি ও শিমে বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে।
যার ফলে এসব ফসলের উৎপাদন কম হবার আশঙ্কা কৃষকদের মধ্যে।
সবজির দামে সেটিও দামে প্রভাব ফেলছে বলে তারা জানান।
পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সবজির প্রচুর চাষ হয়।
সদর উপজেলার চাকলাহাট, হাড়িভাসা, রতনিবাড়ী, বোদা উপজেলার পাঁচপীর, মড়েয়া বড়শষি আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর, আলোয়া খাওয়া, সর্দারপাড়া, দেবীগজ্ঞ উপজেলার তিস্তাপাড়া, ফুলবাড়ি, কালিগঞ্জ এবং তেঁতুলিয়া উপজেলার শড়িয়ালজোত, বিল্লাভিটা ও শালবাহানহাট এলাকা গুলোতে সবজি চাষ হয় প্রচুর পরিমাণ ।
স্থানীয় বাজারে বিক্রির পর এসব এলাকায় আগাম উৎপাদিত শীতকালীন সবজি রাজধানী ঢাকায় চলে যায় ।
বোদা উপজেলার মাড়েয়া এলাকার সবজি চাষি রফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, প্রতি বছর তার প্রায় ২০ লাখ টাকা লাভ থাকে শীতের সবজি চাষ করে।
তিনি জানান যে, চলতি বছর বৃষ্টির অভাবে সবজির ফলন ভালো হয়নি।
সবজি ক্ষেতে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে।
এতে উৎপাদন কিছুটা হলেও কম হবে।
তবে তিনি আশা করছেন সবজির চাহিদা বেশি থাকার কারণে ভাল লাভ পাবেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মিজানুর রহমান।
তিনি জানান, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার বৃষ্টিপাত কম হয়েছে।
এতে সবজি চাষে ব্যাঘাত হয়েছে।
এই শেষ সময়ের বৃষ্টিপাত দেখে চাষিরা তাদের ক্ষতি পূরণ করার চেষ্টা করছেন।
এবার আগাম সবজি বৃষ্টি কম হওয়ায় সেভাবে বাজারে ওঠেনি।
তবে সবজি সরবরাহ আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাড়বে।