Sunday, 19 October, 2025

আগাম ভুট্টা চাষে ব্যাস্ত কৃষক


বন্যায় প্লাবিত ভূট্রা ক্ষেত

নদীবেষ্টিতে নীলফামারী জেলা। এই জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর বুকে অসংখ্য বালু চর জেগে উঠেছে। কৃষকরা আগাম ভুট্টা চাষে ব্যাস্ত, এসব চরাঞ্চলে দিনবদলের স্বপ্ন দেখছেন তারা। চরাঞ্চলের কৃষকদের কাছে আগাম ভুট্টা চাষ যেন গুপ্তধন। আগাম ভূট্টা চাষে ব্যাস্ত কৃষকরা স্বপ্নের এই ফসল বুনতে শুরু করেছেন।

নীলফামারী জেলার চরাঞ্চলে ভূট্টা চাষ

আরো পড়ুন
কৃষিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI): ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
কৃষিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI): ভবিষ্যতের সম্ভাবনা

কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন একটি প্রধান চ্যালেঞ্জ। জলবায়ু পরিবর্তন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং আবাদি Read more

১ লাখ ৩০ হাজার টন সার কিনছে সরকার, মোট ব্যয় ৭২২ কোটি টাকা
এক লাখ ৩০ হাজার টন সার কিনবে সরকার

সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে রাষ্ট্রীয় চুক্তিতে কানাডা, মরক্কো এবং উন্মুক্ত পদ্ধতির মাধ্যমে সৌদি আরব ও কাফকো Read more

সম্প্রতি নীলফামারীর বিভিন্ন চরাঞ্চলে ঘুরে ঘুরে ভূট্টা চাষ দেখা যায়।

বিশেষ করে টাপুর চর, ঝিনঝির পাড়া, জুয়ার চর, কিসামত ছাতনাই, বাঘের চর, পূর্ব খড়িবাড়ী, বাইশপুকুর, ফরেস্টের চরসহ বিভিন্ন চরাঞ্চল।

এ সকল চরাঞ্চলে কৃষকদের ভুট্টা রোপণের দৃশ্য দেখা গেছে।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, নীলফামারীর বুক চিরে বয়ে গেছে কয়েকটি নদী।

তিস্তা, বুড়ি তিস্তা, ইছামতি, যমুনাশ্বেরী, চাড়ালকাটা, চিকলিসহ বিভিন্ন নদ-নদী তাদের মধ্যে প্রধান।

এসব নদীর বুকে শতাধিক বালুর চর ভেসে উঠেছে।

কয়েক লাখ মানুষ এগুলো চরে বসবাস করে।

নানা ফসলের ওপর এসব মানুষ নির্ভরশীল।

এখানে অন্যান্য ফসলের চাষ হয়ে থাকে।

তার পাশাপাশি এই বছরেও সহস্রাধিক হেক্টর ভূট্টা চাষ করেছে এখানকার কৃষকরা।

টাপুর চরে একজন কৃষক জানান যে, এ বছরে ১৫ বিঘা জমিতে ভুট্টা লাগাচ্ছেন তিনি।

তেমন কোনো খরচ হয় না এটি আবাদে।

শুধু বীজ, শ্রমিক ও নদী থেকে পানি দিতে হয়।

পানি অবশ্য মাঝে মাঝে দেওয়ার ব্যয়ও খুব কম।

তাই এই ভুট্টা ফসল থেকে স্বল্প খরচে অধিক মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।

অপর একজন কৃষক জানান যে, তিন বিঘা  বা প্রায় ৯০ শতক জমিতে প্রায় সাড়ে সাত হাজার থেকে দশ হাজার টাকা মত ভুট্টা চাষাবাদে খরচ হয়।

এই স্বল্প খরচে এতে প্রায় ৭৫ থেকে ১২০ মণ ভুট্টা উৎপাদন হয়ে থাকে।

সে হিসেবে যদি বাজারে দাম ভালো থাকে তাহলে ৫২ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা সম্ভব।

কৃষি অধিদপ্তরের নীলফামারী উপ-পরিচালক মো. আবু বক্কর সিদ্দিক।

তিনি বলেন, ভুট্টা অত্যন্ত লাভজনক ফসল।

তিনি আরও জানান যে এ ফসলে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

সেই সাথে কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সার ও বীজ দেওয়া হয়েছে।

আরও জানান যে তাদের তরফ থেকে অধিক ফসল উৎপাদনে সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

0 comments on “আগাম ভুট্টা চাষে ব্যাস্ত কৃষক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আর্কাইভ